বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের গাড়িদহ এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ জনে। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। শনিবার রাত সোয়া ২ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শেরপুরের গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল এলাকায় ঢাকা থেকে নীলফামারীগামী সৃষ্টি পরিবহনের বাস এবং রংপুর থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রাজা মিয়ার ছেলে সৃষ্টি পরিবহনের চালক রওশন হাবিব (৩৫), নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সিরাজুলের ছেলে রেজাউল ইসলাম সাগর (২২) মানিক মিয়ার ছেলে মোস্তফা (২৫) রহিম উদ্দিনের ছেলে বাবুল ইসলাম (৫০) মারা যান।
এঘটনায় দুই বাসের আরো ৭ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শেরপুরের ছোনকা ও ঘোগা বটতলায় এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় আরো ৭ জন আহত হয়েছেন।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ীগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নেয়াসহ আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ২ জন ও হাসপাতালে আরো ২ জন মারা গেছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স রতন হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং নিহতদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।
অন্যদিকে, ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা বগুড়া মহাসড়ের ছোনকা এলাকায় ঢাকাগামী একটি ট্রাক পিকআপের পেছনে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরিত গামী অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমূখী সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ জন আহত হন। ভোর ৪ টার দিকে ঘোগা ব্রীজের কাছে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে চালক ও হেলপার আহত হয়েছেন।