প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের যেই স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, অথচ সেই স্বাধীন দেশেই তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুধু হত্যা করা না, এই হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। আজকে আর সেই নাম মুছতে পারবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকবে না। তার কারণ, আজকে বিশ্বনেতৃবৃন্দ- তারাই কিন্তু আজ এটা নিজেরাই প্রচার করছেন এবং অনেক জায়গায় রেজুলেশনে আনছেন যে ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখানে স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হল, স্বাধীনতার নায়ক বানানো হল, স্বাধীনতার ইতিহাস পাল্টে দেওয়া হল। এই বাংলাদেশে এমন একটা সময় ছিল, তার নামটা পর্যন্ত নেওয়া যাবে না। তার নামটা নেওয়া যেন নিষিদ্ধ ছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর পর দেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে বলার সাহস ছিল না। জাতির পিতাকে হত্যা করে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের চাটুকারিতা যারা করতে পারত, শুধু তারাই সব কিছুই বলতে পারত।