বেড়ানোর কথা বলে কিশোরীকে বাল্যবিয়ের ঘটনায় বরের পিতাকে গ্রেফতার করেছে দশমিনা থানা পুলিশ। এর আগে বাল্যবিয়ের অভিযোগে বরের পিতাসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন কনের মা শাহিনুর বেগম।

রোববার সন্ধে ৮টায় পটুয়াখালীর দশমিনায় দশমিনা থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন। দশমিনা থানা সুএে যানা যায়

শাহিনুর বেগম (৩৫) একই উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদী গ্রামের মো. আলী হোসেনের স্ত্রী।

মামলার এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, শাহিনুর তার স্বামী ও কিশোরী কন্যা সোনিয়া আক্তারকে (১৫) নিয়ে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করেন। তার ননদ রাশেদা বেগম ও ননদের স্বামী মো. নুরু ডাক্তার ঢাকায় তাদের ভাড়াটিয়া বাসায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে মো. নুরু তাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে তার মেয়েকে নিয়ে আসে। পরে অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় মো. নুরু একই গ্রামের হিরন ভূঁইয়ার বাক প্রতিবন্ধী ছেলে মো. ইমরান হোসেনের (১৭) সাথে সোনিয়াকে বিয়ে দেয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- একই গ্রামের রাশেদা বেগম, মো. নুরু ডাক্তার, মনির ভূইয়া এবং পার্শ্ববর্তী ভোলা জেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ গ্রামের মাওলানা মাকসুদুর রহমান।

এ ব্যাপারে বাল্যবিয়ের শিকার মামলার ১নং সাক্ষী সোনিয়া আক্তার জানান, এ বিয়েতে আমি রাজি ছিলাম না। আমাকে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়া হয়েছে।

দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসীম জানান, এ ব্যাপারে দশমিনা থানায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে। বরের পিতা মামলার ১নং আসামি হিরন ভূঁইয়াকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।