December 23, 2024, 7:17 am

বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বিসিবি

Reporter Name
  • Update Time : Monday, January 20, 2020,
  • 416 Time View

বাংলাদেশ সর্বশেষ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে প্রায় অর্ধ যুগ হয়ে গেল। আর যদি ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা তোলা হয়, তবে তো প্রায় এক দশক। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মূল আয়োজক ছিল না। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজনের সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ সেবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল। বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য পূর্ণাঙ্গভাবে একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের।

২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির সব ইভেন্টের বণ্টন শেষ। ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে আইসিসি ছেলেদের আটটি, মেয়েদের আটটি ও আটটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। এই ২৪টি আইসিসির টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নির্বাচন হবে বিডিং (স্বাগতিক হওয়ার জন্য আবেদন) প্রক্রিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে আইসিসি বুঝতে চাইছে কোন কোন দেশ স্বাগতিক হওয়ার সক্ষমতা রাখে। আইসিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশ সফর করে সরকারকে যেমন বোঝাচ্ছেন, তেমনি নিজেরাও বুঝতে চাইছেন, আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক হলে কীভাবে দুই পক্ষ লাভবান হওয়া যাবে।

এক দিনের সফরে আজ ঢাকায় এসেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মানু সোয়ানি ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল জেনারেল ম্যানেজার) ক্যাম্পবেল জেমিসন। বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুজন বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও। আইসিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে কাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বললেন, ‘এর আগে আইসিসির ইভেন্টগুলো হতো সেটার সঙ্গে এখনকারের প্রক্রিয়ায় পার্থক্য আছে। আগে যেটা হতো, ঘুরে ঘুরে, কখনো মহাদেশের ভিত্তিতে, কখনো সদস্যদেশগুলোর অগ্রাধিকার, এসব ছিল। এবার হবে বিডিং প্রক্রিয়ায়, যেটা ফিফা এবং অলিম্পিকে হয়ে থাকে। দেশগুলো বিড করে। এখন থেকে ক্রিকেটেও বিভিন্ন দেশ বিড করবে, শুধু ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

আইসিসি যদি বিডিং পদ্ধতিতে যায়, বিসিবি সভাপতি নিশ্চিত করলেন তাঁরা অবশ্যই আইসিসি ইভেন্টের স্বাগতিক হতে আবেদন করবেন। ভবিষ্যতে স্বাগতিক হতে তাঁরা যে অন্য অনেক দেশের তুলনায় এগিয়েও থাকবে, সেটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন নাজমুল, ‘বাংলাদেশ অবশ্যই বিড করবে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে যে অন্য কোনো দেশ হুট করে করতে গেলে যে অবকাঠামো লাগে সেটা আমাদের প্রায় আছে। নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণে সরকারকে খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না।’

২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির বেশির ভাগ টুর্নামেন্ট নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে ‘তিন মোড়ল’—ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা তেমন কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারেনি। বিসিবি সভাপতির কথায় বোঝা যাচ্ছে, সামনে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে আটঘাট বেঁধেই নামবে বাংলাদেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71