নাটোরের বিভিন্ন হাট-বাজারে হঠাৎ করেই জনসমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা চারদিন গৃহবন্দী থাকার পর সোমবার সকাল থেকেই হঠাৎ বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে মানুষ। তাদের উপস্থিতি বেশি ছিল মূলত কাঁচাবাজার, ওষুধ এবং নিত্যপণ্যের নানা দোকান ও ব্যাংকগুলোতেই।
এছাড়া শহরের সড়গুলোতে রিকশা-ভ্যানসহ মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের চলাচলও বেশি ছিল।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এভাবে বিপুল মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসাকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।
তারা জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনকে তৎপর হওয়ারও তাগিদ দিয়েছেন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোরে নতুন ১৪ জন সহ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ২১০ জন। গত দিনে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৯৬ জনের মধ্যে তিনজনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের স্বাভাবিক চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবর রহমান সোমবার শহরের জনসমাগম বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাজারগুলোতে যেভাবে মানুষের ভিড় বাড়ছে তাতে করে করোনা ঝুঁকির শঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হলে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ এখনও শাঙ্কামুক্ত নয়, তাই সকলকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের এবিষয়ে নজরদারী বাড়াতে হবে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সোমবার নাটোরের হাট-বাজারসহ শহরে জনাসমাগম বৃদ্ধির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকলকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর প্রতি সদস্য শহরবাসীকে নিজ নিজ বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছেন। মানুষের যে কোনো প্রয়োজনে পুলিশ সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে। প্রয়োজন হলে মানুষের কনোকাটায় পুলিশ সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হলে আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। করোনা থেকে নিজেদের রক্ষায় সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে সকলকে।