জেলার সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের কিসমত মৌকরন গ্রামের ফারুক মোল্লার কিশোরী মেয়ের সাথে একই উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাজিখালী আবাশনে থাকা মতি হাং এর ছেলে অটো চালক কিশোর জামালের সাথে পারিবারিক ভাবে বিগত চার মাস পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা।
বিয়ের পরে জামাল তার ছোট বোন সহ হাজীখালী আবাশনে থাকা শুরু করে। জামালের বাবা শহরের কলাতলায় ভাড়া বাসায় থেকে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছে।
ঘটনার দিন অর্থাত গত ২৮শে মার্চ দুপুরে আবাশনের বাসায় ঘরের মধ্যে গলায় ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন কিশোরী গৃহবধূ সোনিয়া।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে নিহতের স্বামীর মামাতো ভাই একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইউসুফ মাঝির ছেলে কিশোর মিলনের কু- নজর পরে সোনিয়ার উপর, স্থানীয় ইউ পি সদস্য মোঃ ইউসুফ সহ আবাসনের একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন, মিলন প্রায়ই জামালের বাসায় বেরানোর নামকরে এসে রাত্রি জাপন করতো, তখন নজর পরে কিশোরী সোনিয়ার উপর ।
মিলনের প্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় ঘটনার আগের রাতে জামাল, মিলন সহ জামালের একটি ছোট ভাই সহ একই ঘরে রাত্রি জাপন করে এবং সময় বুজে সোনিয়া ও তার স্বামীকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় লম্পট মিলন, এবং সকলে ঘুমিয়ে পরলে মিলন সুযোগ বুজে ধর্ষনকরে ভাবি সোনিয়াকে এবং এ বিষয় সোনিয়া তার স্বামী জামালকে পূর্বে এবং ঘটনার দিন একাধিক বার জানালেও কোন প্রতিবাদ করেনি স্বামী জামাল।
হয়ত এঘটনায় রাগে অভিমানে আত্মহত্যা করতে পারে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এদিকে জামালের বিয়ের পরে মিলনের জামালের বাসায় আসা যাওয়াটাকে ভালোভাবে দেখেনি এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার পরপরই পলাতক রয়েছে মূল অভিযুক্ত মিলন।
এবিষয় মিলনের বড় ভাই দুলাল মাঝির কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে নাপারলেও ভাই মিলনের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেন, এদিকে এ ঘটনায় ঐ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এলাকার মেম্বর ইউসুফ ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন মাঝি এ ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে নিহত সোনিয়ার দিনমজুর পিতা ফারুক মোল্লা তার বড় মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছেন, তিনি বলছেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে এবং মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন বলে নিহতের বাবা ফারুক জানান।
এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছেন বলে জানান নিহতের একাধিক আত্মীয়রা।