পটুয়াখালী,প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার গঙ্গিপাড়ার গ্রামের হারেজ ব্যাপারীর কষ্টার্জিত লাগানো গাছ কেটে ছ’ মিলে নেয়ার পরে প্রতিপক্ষ মঞ্জরুল আলম ও তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে অতর্কিত হামলা করে, যার ফলে বর্তমানে গলাচিপা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি বলে জানিয়েছে অহত হারেজ ব্যাপারীর পরিবার।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, হারেজ ব্যাপারী ভূমীহিন হওয়ায়, দীর্ঘ ৪৫ বছর মুজিব কেল্লা নামক স্থানে বসবাস করে আসছে।
যে খানে এক সময় ঘনবন জঙ্গল আর হিংস্র জীব জন্তুর অভয়রান্য আভাস্থল ছিলো।
জীবন বাঁচাতে পরিবার জন নিয়ে বসবাস কালে সবুজ বনায়ন করে কিছু বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বসবাস উপযোগী করে তোলেন হারেজ ব্যাপারী। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিত হারেজ ব্যাপারী ও তার পরিবারের সদ্যস্যরা জানান, তারা গৃহ ও ভূমিহিন হওয়ায়, ঝড় তুফান আর প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে যুদ্ধো করে দীর্ঘ বছর বসবাসের সাথে তার কষ্টার্জিত এবং লালন পালনে ছোট গাছ গুলো’ও বড়।
নিজের প্রয়োজনে লাগানো গাছ কাটতে গেলে এখানেই কাল হয়ে দাড়ার ভূমীহিন হারেজ ব্যাপারীর জীবনে। আরো জানা যায়, একই এলাকার প্রভাবশালী মৃতঃ বজলুর রহমানের ছেলে মঞ্জরুল আলোমের লালশার নজর পরে ভূমীহিন হারেজ ব্যাপারীর নিজ লাগানোর গাছগুলোর উপরে।
শুরু হয়, বিভিন্ন হামলা মামলা সহ নানা হয়রানী আর নির্যাতন। এ নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে রাঙ্গাবালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও, কোন সমাধানের আসার আলো দেখেনি হারেজ ব্যাপারী ও তার ভূমীহিন পরিবার।
এনিয়ে নির্যাতিত পরিবার দিশে হারা হয়ে বিভিন্ন মহলে ছুটা ছুটি করলে, ফুলে ফেপে মঞ্জরুল ও তার লাঠিয়াল বহিনি নিয়ে ৬ মার্চ সোমবা নিজ এলাকার সেনের হাওলা ‘ছ মিলের সামনে সকাল আটটার সময় একা পেয়ে হারেজ ব্যাপারীর উপর দেশীয় লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করলে, কোন মতে জীবন বাঁচিয়ে গলাচিপা সরকারি হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়ে ডাক্তার মেজবাহ উদ্দিনের চিকিৎসায় ভর্তি বলে জানান নির্যাতিত হারেজ ব্যাপারী।
যার জরুরী নাম্বার ২৮৫৪/৮। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মোঃ আলী আহমেদ মুঠোফোনে জানান, হামলার বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারিনি। তবে, গাছ নিয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম, বিষয়টি তদন্ত কাজ শেষ হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।