December 23, 2024, 11:48 am

গলাচিপায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত সুকন্যা রানী

Reporter Name
  • Update Time : Monday, April 13, 2020,
  • 261 Time View

গলাচিপায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত সুকন্যা রানী

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছে। তারমধ্যে গুরুতর আহত সুকন্যা রানী (৩৫)। সুকন্যা রানী হচ্ছেন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের লক্ষন দাসের স্ত্রী। প্রতিপক্ষ হচ্ছেন একই বাড়ির লক্ষন দাসের জ্যাঠাত ভাইয়ের ছেলে প্রশান্ত দাস (৩০)। প্রশান্ত দাস হচ্ছেন মৃতঃ প্রানকৃষ্ণ দাসের ছেলে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পৌরসভার সদর রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তার ও জমা জমি নিয়ে বিরোধ এবং পূর্ব শত্রæতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। ঐ স্থানের মন্টু কৃষ্ণ পাল বলেন, প্রায় ৫০ বছর পর্যন্ত ঐ জায়গায় মৃতঃ লক্ষী কান্ত দাস ও তার ছেলে লক্ষন দাস দোকান করত। তাদের নামে ৩০ বছর পর্যন্ত ডিসিআর কাটা আছে। হঠাৎ করে প্রশান্ত দাসের মা বাসনা রানী ঐ জায়গা জোর পূর্বক দখল করতে আসলে তখন দুই পক্ষের মাঝে এ সংঘর্ষ হয়। এলাকাবাসী সুকন্যা রানী ও প্রশান্ত দাসকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, দুইজনই আমার চিকিৎসাধীনে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে লক্ষন দাস বলেন, আমার বাবার নামে ঐ জায়গার ডিসিআর প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত কাটা হয়েছে। আমি এবং আমার বাবা ঐ জায়গায় দোকান করি। কিন্তু হঠাৎ করে ঐ জায়গা ভোগ দখলের জন্য জোর পূর্বক চেষ্টা করে এবং আমার স্ত্রীকে বেধম মারধর করে। আমার স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আমি গরিব মানুষ। কি করব ভেবেই পাচ্ছি না। এ বিষয়ে কালীবাড়ি কমিটির সভাপতি দিলীপ বণিক, সাধারন সম্পাদক তাপস কুন্ড একাধিকবার তাদের নিয়ে বসলেও প্রশান্ত দাসের লোকজনদের নিয়ে কোন সুরহা করতে না পেরে অবশেষে লক্ষন দাসকে একটি প্রতিবেদন দিয়ে দেন। এ বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র মরহুম হাজী আঃ ওহাব খলিফা ঐ জায়গায় সালিশ করেন। পরে তিনি উভয় পক্ষকে অর্ধেক করে ভাগ করে দেন। কিন্তু সরলতার সুযোগে বাসন্তী রানী ও প্রশান্ত দাস সব জমি ভোগ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। গলাচিপা ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবু সুশিল চন্দ্র বিশ^াস বলেন, আমি প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করব তারা যেন ঐ জায়গার ঘরগুলো বন্ধ করে রাখে। তা না হলে ঐ জায়গায় যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। কেননা দুই পক্ষকে এক জায়গায় করা যায় না। হয়ত এক পক্ষ আসলে আবার আর এক পক্ষ আসে না। গলাচিপা পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন বলেন, আসলেই দুই পক্ষই গরিব। আমি মনে করি প্রশাসন যদি চেষ্টা করে তাহলে দুই পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করা সম্ভব। বিষয়টি আমি শুনেছি, দেখব। গলাচিপা থানার এস আই আঃ মান্নান বলেন, দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71