জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী মোঃ লোকমান মৃধা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ইউনিয়নে কার্ডপ্রাপ্ত জেলেরা চাল না পাওয়ায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ ৭ মে সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের অফিস সংলগ্ন এ অবস্থান কর্মসূচিতে অর্ধশতাধিক জেলে অংশগ্রহন করেন । তারা জানান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মামুন খান জেলেদের চাল নিয়ে অনিয়ম করছে। যে দিন কার্ডপ্রাপ্ত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন তখন আমরা অনেকেই চালের জন্য গেলে আমাদের অনেক মারধরসহ গালমন্দ করে তারিয়ে দেন।
এ বিষয় ইউএনওর কাছে গেলেও তিনি আমাদেরকে কোন ফয়সালা দিতে পারেননি। তাই আমরা নিরুপয় হয়ে আজ জেলা প্রশাসকের কাছে দেখা করতে আসছি।
জেলা প্রশাসক জেলেদের অভিযোগ মনোযোগসহকারে শোনেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে তিনি রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাশফাকুর রহমানকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেন।
মানববন্ধন পালনকালে আবু জাফর গাজী (তালিকাভুক্তি জেলে কার্ড নং-১০৭৮৯৭০০৮৩০০১৫২৩
),আঃ রব ঘরামী ( কার্ড নং-১০৭৮৯৭০০৮৩০০১৩২৬) মোশারেফ ফরাজী (কার্ড নং-১০৭৮৯৭০০৮৩০০১৬২২) স্বপন মুন্সি (কার্ড নং-১০৭৯৯৭০০৮৩০০০১৮০) ও ফোরকান হাওলাদার জানান, আমরা প্রকৃত জেলে, নদী সাগরে মাছধরে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। দেশে মৎস্য সম্পদ ইলিশ রক্ষায় সরকার কর্তৃক দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধকালিন সময় তালিকাভুক্ত জেলেদের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দুইবার চাল বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। আমরা কার্ড পাওয়ার পর একবার মাত্র ভিজিএফ এর চাল পেয়েছি। গত ৪/৫ বছরে আমাদের কার্ডের বিপরিতে কোন চাল পাই নাই। ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কার্ড নিয়ে চাল আনতে গেলে, তিনি কার্ড ভিজাইয়া পানি খাইতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাছ করেন। তার ক্যাডার বাহিনী জাফর মীর ও কামাল মীরগং ভিজিএফ এর চাল চাইতে গেলে মারধর করে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়।
যারা টাকা দিতে পারে তাদেরকে চাল দেয় বলে মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী জেলোরা জানান।
এদিকে এই মানববন্ধন কে কেন্দ্র করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন অপরাধী যেই হোক না কেন সুষ্ঠু তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত এভাবে দেশজুড়ে হতদরিদ্রদের চাল লুটপাট করে খেতে পারেনা দুস্কৃতিকারীরা।