করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতেও দেশে বিড়ি-সিগারেটের উৎপাদন ও বিক্রি অব্যাহত আছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ভাইরাস মোকাবিলায় ধূমপায়ীরা নাজুক এবং এটি ছড়ানোর পেছনেও তাদের ভূমিকা আছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন পর্যবেক্ষণের পরও মন্ত্রণালয় তাদের এই অনুমতি দিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এমন অনুমতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে বিড়ি-সিগারেটের উৎপাদন, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সাবের হোসেন চৌধুরী বন, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। গত ২০ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে পাঠানো এক চিঠিতে এসব দাবি জানিয়েছেন তিনি।
৪ এপ্রিল ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড সিগারেট উৎপাদন, তামাক ক্রয় এবং উৎপাদিত সিগারেট বিতরণ ও বিক্রির অনুমতি চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দকে চিঠি দেয়। ১৯৫৬ সালের জরুরি পণ্য আইনে সিগারেট একটি জরুরি পণ্য বলে চিঠিতে তারা উল্লেখ করে। এর পরদিনই উপসচিব আবেদন অনুযায়ী তাদের সব ধরনের সহায়তা করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে চিঠি পাঠান।