লাচিপায় মা ও মেয়ে গুরুতর আহত হাসপাতালে ভর্তি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সেলিনা বেগম (৪০) ও মেয়ে রুমা বেগম (২৭) নামে দু’জন গুরুতর আহত। আহতরা হচ্ছেন উপজেলার বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জালাল বেপারীর স্ত্রী ও মেয়ে। জালাল বেপারী জানান, গত ৭ই মে সকাল ৭টার দিকে তিন বছরের শিশু প্রতিপক্ষর গাছের আম্বুল ফল ছেড়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও মেয়ে রুমা বেগমকে বেধম মারধর করে এবং আমার মেয়ে রুমা বেগমের তলপেটে লাথি মারে। এতে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মেজবাহউদ্দিন জানান, সেলিনা বেগমের মাথা ফেটে যায় এবং মাথায় সেলাই লেগেছে। রুমা বেগমের রক্ত ক্ষরন হচ্ছে।
আমার চিকিৎসাধীনে তার ২য় তলায় ভর্তি আছে। রুমা বেগমের ভাই হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমার চাচাত চাচা মালেক বেপারীর নেতৃত্বে আনসার, সোহেল ও রুবেল আমার মা ও বোনকে এলোপাথারী ভাবে মেরে গুরুতর আহত করেছে।
এখন তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি আরও বলেন, আমার বোন অন্তস্বত্যা। তার তলপেটে লাথি দেওয়ায় রক্তক্ষরন হচ্ছে। ডাঃ তার অবস্থা আসঙ্কাজনক দেখে মঙ্গলবার বিকেলে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করেছেন। এ বিষয়ে মালেক ব্যাপারীর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরস্পর আমরা আত্মীয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু পক্ষের মাঝে মারামারি হয় এবং দুই পক্ষই আহত হয়েছে। ইউপি সদস্য রশিদ হাওলাদার বলেন, আসলেই অমানবিকভাবে মালেক ব্যাপারী সেলিনা বেগম ও তার মেয়ে রুমা বেগমকে মারধর করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর খান বলেন, মালেক ব্যাপারী আমার ইউনিয়নের একজন মামলাবাজ ক্রিমিনাল প্রকৃতির লোক। সে আইন কানুন কিছুই মানতে চায় না এবং গায়ের জোরে চলে। এ বিষয় নিয়ে জালাল বেপারী গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।