হিবুল্লাহ পাটোয়ারী :
পটুয়াখালীর মহিপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মহিপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।
এসময় লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে মহিপুরের শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ খানের নাতি মিজানুর রহমান বলেন গত ২৭ /০৪/২০ তারিখ তাদের নিজস্ব বসতভিটার গাছের ঠাল কাটাকে কেন্দ্র করে তার বাবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার বড় ছেলে আইয়ুব খান বাচ্চু, এবং তার মা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হোরেয়া বেগম (৮০) ও তার উপরে পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্র (বগি, দা) দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত হামলা চালায় তার আপন চাচা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার মেজ ছেলে জাকির হোসেন খান, তার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম রুবেল, মেজ ছেলে রাসেল, এবং সেজ ছেলে রাজু এবং তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
এসময় হত্যার উদ্দেশ্যে আইয়ুব খানের উপরে হামলাকারীরা এলোপাথারি কোপ দিলে গুরুতর তার মাথায় এবং বাম চোখে আঘাত লাগে।
তাৎক্ষণিক তাকে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয় বর্তমানে তার চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরো বলেন বিগত দিনে তারা তাদের নামে বিভিন্ন ধরনের একাধিক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে হয়রানি করে আসছে। এবং এর আগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলামের উপরের হামলাকারীরা প্রান নাসের হামলা চালিয়েছিল।
এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি তার দাদা খেতাবপ্রাপ্ত শহিদ মুক্তিযোদ্ধা’র নামে হামলাকারী তার মেজো ছেলে শুনলাম ক্ষুন্ন করার জন্য তাকে রাজাকার বানানোর অপচেষ্টা ও অপপ্রচার চালিয়েছিল।
এসময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা “স্ত্রী জানান দীর্ঘদিন ধরে তার এবং তার বাড়ছেলে আইয়ুব খান বাচ্চু ও সেজো ছেলে জহিরের উপর একাধিকবার প্রান নাসের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
অভিযোগে তারা আরো জানান হামলা মামলার ৫ নম্বর আসামি ও হুকুমদাতা রোকেয়া বেগম কে এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তিনি এখনো দা, ছেনা নিয়ে তাদের উপরে আক্রমণের চেষ্টা করে আসছে। হামলা কারীরা হামলা করেই থেমে যায়নি এখনো তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আহতদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
এমতাবস্থায় তারা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে হামলাকারীদের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান।
মামলার আয়ু মহিপুর থানার এস আই তারেক মাহামুদ সাংবাদিকদের মোবাইলে জানান মামলার তদন্ত প্রায় শেষের পথে, মেডিকেল রিপোর্ট পেলেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।