সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদন্ড এম.এস রিয়াদঃ করোনা মহামারি থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন প্রশাসন ও ডিফেন্স সদস্যরা।
রমজান ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে সরকারের নির্দেশে শিথিল করা হয়েছে দেশের সকল বাজার। তবুও যেন সচেতনতার গন্ডি পেড়িয়ে ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ক্রয় ও বিক্রয় চলছে। এমন হতাশাজনক পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত এর বিচারকদের (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) হিমসিম পোহাতে হচ্ছে। কেননা কেউ কেউ আবার বড় মাপের আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে বের হতে চেষ্টা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বার্তার আইনের মধ্য দিয়ে।
একজন চিকিৎসক মাস্ক না পরায় তাকে সচেতন হতে বলায় প্রশাসনিক ক্ষমতা রয়েছে মর্মে হেনস্তামূলক আচরণ করেন মোবাইল কোর্টকে। পরবর্তীতে ওই চিকিৎসক ভিজিটিং কার্ড রেখে চলে যান। এমনভাবে চলতে থাকলে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। (১৩ মে) বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরগুনা শহরের গার্মেন্টস ও জুতা পট্টিসহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীন দশটি মামলায় মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর বকর সিদ্দিকী। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতনতার লক্ষ্যে নিরলস দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের সচেতনতা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা অতি জরুরি। সুতরাং নিজে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্যবিধি মান্য করলেই রক্ষা পেতে পারে ভয়াবহ এ করোনার হাত থেকে।