বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষের দিন কাটছে দুর্ভোগ ও দুর্দশা। আর সেই মুহূর্তে মাহে রমজান কে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর একাধিক বাজারের ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া বিষয়টি র্যাব জানতে পারলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার সকল বাজারে অভিযান পরিচালনা করে।
পটুয়াখালী সদর এর পুরান বাজার ও নিউ মার্কেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে মাছ, মুরগী ও গরুর মাংস ব্যবসায়ীদেরকে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে ৮ জন ব্যবসায়ীকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার (১৫ মে) সকাল আনুমানিক ০৮.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-৮, সিপিসি-১, (পটুয়াখালী ক্যাম্প) ও জেলা প্রশাসন, পটুয়াখালী এর যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
যাদের জরিমানা করা হয় – ১। মাংস ব্যবসায়ী মোঃ খলিল সরদার (৪৫), পিতা-ফরজউদ্দিন সরদার, সাং- টাউন জোনকাঠী , থানা-সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ২,০০০/- টাকা, ২।
মাংস ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম হাওলাদার (৪৫), পিতা- জয়নাল হাওলাদার, সাং-টাউন জোনকাঠী, থানা-সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ২,০০০/- টাকা, ৩। মাংস ব্যবসায়ী খোকন বয়াতী (৪২), পিতা-কালু বয়াতী, সাং-পুরান বাজার, থানা- সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ৫,০০০/- টাকা, ৪।
মাংস ব্যবসায়ী শহিদ বয়াতী (৪৫), পিতা- কালু বয়াতী, সাং- পুরান বাজার, থানা-সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ৩,০০০/-, ৫।
মুরগী ব্যবসায়ী মোঃ হানিফ মিয়া (৪৮), পিতা- মোঃ মেরামত আলী, সাং-পুরান বাজার, থানা- সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ২,০০০/- টাকা, ৬। মাছ ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল হোসেন (৫০), পিতা- হালিম , সাং- লাউকাঠী, থানা-সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ১,০০০/- টাকা, ৭।
মাছ ব্যবসায়ী আঃ রহিম (৪০), পিতা-হাফিজ গাজী, সাং- নিউ মার্কেট, থানা- সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ৫০০/- টাকা, ৮। মাছ ব্যবসায়ী মোঃ জামান বিশ্বাস (৪৩), পিতা-ইউসুফ বিশ্বাস, সাং-পুরান বাজার, থানা- সদর, জেলা- পটুয়াখালীকে ৫০০/- টাকা সহ সর্বমোট ১৬,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মানশ চন্দ্র দাস, সহকারী কমিশনার, মোঃ গোলাম সরওয়ার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রুনাল্ট চাকমা, পটুয়াখালী এবং জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ মহিউদ্দিন আল মাসুদ উপস্থিত ছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪৭ ধারা মোতাবেক অর্থদন্ড প্রদান করেন।
তবে এই অভিযান পরিচালনা করার সময় বাজার নিতে আসা একাধিক সাধারণ মানুষ বলেন র্যাব এর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের এই অভিযান ধারাবাহিক চলমান থাকবে এটাও প্রত্যাশা করছি আমরা।
এদিকে একাধিক সচেতন নাগরিকরা বলেন শুধু রেপ নয় সকল প্রশাসনের কঠোর হওয়া উচিত এসময় তারা আরও বলেন আমরা পটুয়াখালী জেলা তে। র্যাব এর কার্যক্রমে অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত যেখানেই দেখছি অনিয়ম হচ্ছে সেখানেই র্যাবের সদস্যরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে এভাবে সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে কাজ করিলে হয়তোবা দেশটা ভালো হতে আর বেশি দেরি নয়।