যতোটুকু জানি অধ্যাপক আনিসুজ্জামন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হননি। তাঁর অন্যান্য অসুস্থতা ছিল, সেইগুলোর চিকিৎসা সেবা পেতেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর মুত্যুর পর তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এই পর্যন্ত যে বিবরণ আমি উল্লেখ করলাম তার মধ্যে কি কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা আছে? না, নেই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটে থাকতে পারে এবং এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়।
করোনা ভাইরাসের বিস্তারের পর পরই পশ্চিমা দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ রেখে হাসপাতালগুলোয় অন্যান্য চিকিৎসা সেবা সংকোচিত করে দেয়। জীবনরক্ষাকারী বাদে বাকিসব সার্জারিও স্থগিত রাখা হয়।
এটি করা হয় রোগীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই। হাসপাতালগুলোকে করোনা ভাইরাসের একটি উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করেই হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের যাতায়ত সীমিত করে দেয়া হয়। কানাডায় টেলি হেলথ ব্যবস্থার পাশাপাশি রোগীর বাড়ী গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা হয়। জরুরী চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। যতটুকু জানি, তিনি যে সমস্যাগুলো হাসপাতালে গিয়েছেন সেগুলোরই চিকিৎসা হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও তাঁর এই চিকিৎসাগুলোই দিতে হতো। মৃত্যুর পর তার করোনা টেস্ট করে চিকিৎসকরা অতি জরুরী কিন্তু বাড়তি দায়িত্বই পালন করেছেন।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, নতুন দেশ ডটকম।