বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তা থেকে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তবে সে ঝড় তৈরি হলে এটি কোথায় আঘাত হানতে পারে, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে।
দেশে বৈরী আবহাওয়ার সময় বলে পরিচিত মার্চ–এপ্রিল মাস। এ সময় কালবৈশাখী ঝাপটা মারে। উত্তপ্ত হয়ে থাকে সাগর। সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়। আঘাত হানে উপকূলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সমুদ্র উত্তাল করে সেখানেই ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড়টি। এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সোমবার এটি অভিমুখ পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে আরও অগ্রসর হয়ে উপকূলভাগে ধেয়ে আসতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের বহু স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, নিম্নচাপটি শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বুলেটিনে আরও উল্লেখ করা হয়, নিম্নচাপের কেন্দ্রে ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।