সুপার সাইক্লোন আম্ফান দেশের উপকূলে আঘাত হানবে এটি অনেকটা নিশ্চিত। এই সময় ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-১০ ফুটের বেশি হতে পারে। আর বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আগামীকাল বুধবার ভোরে খুলনা হয়ে চট্টগ্রামের উপকূলে আঘাত হানবে আম্ফান। শক্তির দিক থেকে সিডর বা ভোলা সাইক্লোনের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে আঘাত হানার সময় শক্তি কমতে পারে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সুপার সাইক্লোন আম্পানের গতিপথ আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর নাগাদ স্পষ্ট হতে পারে। এখনো পূর্বের সংকেতই অব্যাহত রয়েছে, তবে দু-এক ঘণ্টার মধ্যে মহাবিপদ সংকেত আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় এরই মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আজ মঙ্গলবার শেষরাত থেকে আগামীকাল বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উপকূলীয় ১১টি জেলায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত সরিয়ে ৭ নম্বর বিপত্সংকেত দেখাতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে ১৪টি জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোয় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৫১ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।