নিজেস্ব প্রতিবেদক।
বাংলাদেশে মহামারী ভাইরাস করোনা আগমনের শুরু থেকে বাংলাদেশ পুলিশ করোনা রুগী পরিবহন খাদ্য সংকট সমাধান ও করোনা আক্রান্তে নিহতদের দাফন সহ বিভিন্ন মানবীকতায় প্রসংশা কুরিয়েছে এ বাহিনীটি ।
বিশেষ করে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানবিক সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন, ওসি আক্তার মোর্শেদ পটুয়াখালী সদর থানায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন মানবিক সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন । বিশেষ করে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার জনাব মঈনুল হোসেন এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিভিন্ন অপরাধ দমনের পাশাপাশি ববর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যাপক প্রসংশা কুরিয়েছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৪শে মে, পটুয়াখালী থানা পুলিশের নিকট সংবাদ আসে যে, পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্স এর পাশে “এক অসহায় বৃদ্ধা তার মৃত স্বামীকে সৎকারের জন্য হাহাকার করিতেছে কিন্তু কোন লোকজন বা তার আত্মীয় স্বজন সেখানে আগাইয়া যাচ্ছে না” এমন সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে তাৎক্ষনিক পটুয়াখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আখতার মোর্শেদ সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিয়া এবং স্থানীয় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া নাম-মোঃ হাবিবুর রহমান(৮১), পিতা-মৃত মোঃ ইয়াছিন মুন্সি, মাতা- মজুদা খাতুন, সাং-দক্ষিণ টাউন কালিকাপুর, পটুয়াখালী পৌরসভা, থানা ও জেলা- পটুয়াখালী অদ্যই সকালে তার ঝুপড়ি ঘরে বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যাওয়ার পর স্ত্রী মৃত স্বামীকে সৎকার করার জন্য এলাকাবাসীর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিলে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কোন এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন তার স্বামীর সৎকারের জন্য আগাইয়া আসিতেছে না।
মৃত ব্যক্তি বার্ধক্য জনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানতে পারে এমন পরিস্থিতিতে অফিসার ইনচার্জ তার মানবিক মূল্যবোধ থেকে পৌর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে পৌরসভার গাড়ী ও জনবল সংগ্রহ পূর্বক স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডেকে ধর্মীয় বিধি বিধান অনুযায়ী লাশটিকে সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন।
এমন মানবিকতায় পুলিশের প্রসংশায় পঞ্চমুখ স্থানীয় সাধারণ মানুষ ,জদিও স্থানীয়রা এগিয়ে আসেনি করোনা পরিস্থিতির কারনে, তারপরও তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদকে ।