সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের বেসামরিক প্রধান নূরুল ইসলাম মঞ্জুর আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার (২৫ মে) রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন বলে জানান তার ভাই নুরুল আলম ফরিদ।
আজ বাদ আসর গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে মরহুমের দফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
নূরুল ইসলাম মঞ্জুরের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা ইউনিয়নের হেতালিয়া গ্রামে। বাবা প্রয়াত হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ ছিলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। বাবার চাকরিস্থল বরিশালে তার জন্ম হয় ১৬ নভেম্বর ১৯৩৭ সালে।
বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বরিশাল থেকে প্রকাশিত বিপ্লবী বাংলাদেশের প্রকাশক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ জানান, তার ভাই নূরুল ইসলাম মঞ্জুর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী ছিলেন। এছাড়া তিনি ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ইকবাল হল (জহুরুল হক হলের) ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশাল আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি বরিশাল সদর থেকে এম এন এ (জাতীয় পরিষদ সদস্য) নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে বরিশাল সদর থেকে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পরে ১৯৯১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি জেলহত্যা মামলায় আটক হন। ২০০৪ সালে তিনি খালাস পান।
এদিকে নূরুল ইসলাম মঞ্জুরের মৃত্যুতে পিরোজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন শোক প্রকাশ করেছেন।