ব্রাজিলে করোনায় একদিনে রেকর্ড ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন এক হাজারে উপরে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের আদিবাসী অঞ্চলগুলোতেও।
যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার একদিনে মারা গেছেন ১২শ’ ২৩ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৫৮ জন।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও কোভিড নাইন্টিনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দুই শতাধিক স্কুল।
ব্রাজিলে করোনায় প্রতিদিনই লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে সংক্রমণ। সবশেষ বৃহস্পতিবার একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় জায়গা সংকুলান হচ্ছে না দেশটির গণকবরগুলোতে। সেইসঙ্গে, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আদিবাসী অঞ্চলেও।
একজন স্থানীয় বলেন, পুরো বিশ্বের মতো ব্রাজিলেও আজ মহামারির মুখোমুখি। আমাদের এই অঞ্চলেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন বহু মানুষ। আমাদের এই আদিবাসী সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।
আরেকজন বলেন, আমার মনে হয় আমাদের সবাইকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। নিজে বা পরিবারের কেউ আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত মানুষ ভাইরাসটিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেনা, যেটা দুঃখজনক।
যুক্তরাষ্ট্রেও স্থিতিশীল রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও অব্যাহত রয়েছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিউইয়র্কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্কের ব্যবহার। এর মধ্যেই ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতি নিজের দুটি টুইটে টুইটার কর্তৃপক্ষ ‘ফ্যাক্টচেক’ ট্যাগ লাগিয়ে দিলে চটে যান ট্রাম্প। হুমকি দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধেরও। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নির্বাহী ওই আদেশে সই করলেন তিনি। এই আদেশের ফলে এখন থেকে আইনগত কিছু সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। যদিও, ট্রাম্পের এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় লকডাউন তুলে দেয়ার কয়েক দিনের মাথায় আবারও রাজধানী সিউলের বাইরে হঠাৎ করেই কোভিড নাইন্টিনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দুই শতাধিক স্কুল। তবে, রাজধানী সিউলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।