ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী আদেশে সই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এই আদেশে সই করেন তিনি। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের ফলে ফেসবুক টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন আইনগত কিছু সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
সম্প্রতি ট্রাম্পের পোস্টকৃত দুটি টুইটে ফ্যাক্ট চেক ট্যাগ লাগিয়ে দেয় টুইটার। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ট্রাম্প। সেই হুঁশিয়ারি দেয়ার একদিন পর নির্বাহী আদেশে সই করলেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দুটি টুইটের বিষয়ে মন্তব্য করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই দুটি টুইটে ট্রাম্প লিখেছিলেন, মেইলে পাঠানো ব্যালটে কারচুপির সুযোগ থাকবে। পরে টুইট দুইটির নিচে টুইটার কর্তৃপক্ষ লিখেছে, মেইলে পাঠানো ব্যালট সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিন। ওই কথায় ক্লিক করলেই একটি ফ্যাক্ট চেক পৃষ্ঠায় ল্যান্ড করছে নেট ব্যবহারকারীরা। সেখানে আরও কয়েকটি লিঙ্ক দেয়া ছিল, যেখানে ক্লিক করলে ট্রাম্পের বক্তব্য খণ্ডনকারী খবরগুলো চলে আসে। টুইটে জানানো ভুল, বিভ্রান্তিকর বা খতিয়ে না দেখা তথ্যগুলো পরিবেশন বন্ধ করতে যে টুইটার বদ্ধপরিকর, সে কথাও সেখানে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পরেই ট্রাম্প সোশাল মিডিয়া বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন। ট্রাম্প বলেন, রিপাবলিকানরা মনে করছে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো রক্ষণশীল মতামত রুদ্ধ করতে চাইছে। এমনটা ঘটার আগে আমরা তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো বা বন্ধ করে দেবে।