কুমিল্লার সাতজন জনপ্রতিনিধি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ঘরবন্দি। তাদের শারিরীক অবস্থা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, দাউদকান্দি পৌরসভার মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন ও লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী।
এদিকে অন্য জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন আতঙ্কে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল জানান, ২৭ মে জানতে পারি আমি করোনা পজেটিভ। টেস্টের পর থেকে নিজ বাসার একটি রুমে আছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলছি। প্রথম দিকে জ্বর আর হালকা কাশি ছিল। আপাতত তেমন সমস্যা নেই। সবার দোয়া চাই।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ম. শাহীনূর আলম সুমন বলেন, দাউদকান্দি পৌরসভার মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন, ১ নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর মো. ফারুক প্রধান ও ৬ নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর মো. সালাউদ্দিন করোনায় আক্রান্ত। গত শুক্রবার তাদের রিপোর্ট হাতে পাই। তিন জনপ্রতিনিধি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের অফিস ও বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী জানান, লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী গত ২৬ মে করোনা আক্রান্ত হন। ধারণা করা হচ্ছে, ফিল্ড পর্যায় কাজ করতে গিয়ে কোথায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। শারিরীক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল হাসান ও একজন ওয়ার্ড সচিব করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারা নিজ বাসা বাড়িতে আছেন। তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নিয়ম মেনে চললে কম সময়ে সেরে উঠবেন। কত দিনে সুস্থ হবে, সেটা নির্ভর করে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। সুস্থ হওয়ার পর আবার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।