অনলাইন ডেস্ক
ভারত-চীন উত্তেজনার মধ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল বেইজিং। বলা হয়েছে, আমেরিকা চীনের স্বার্থে কোনোরকম আঘাত হানার চেষ্টা করলে ‘চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া’ দেখানো হবে।
আমেরিকায় চীনা শিক্ষার্থী ও কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্ত এবং হংকংয়ের সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’কে আরো ঘনিষ্ঠ করার মার্কিন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
চীনা পার্লামেন্ট গত সপ্তাহে হংকংয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা ও দেশদ্রোহ নিষিদ্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনুমোদন করেছে।
আইনটির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে চীনের কর্মকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাসের হুমকি মোকাবেলায় এ আইন প্রয়োজন।কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে বলেছেন, এই আইন হংকংয়ের জনগণের জন্য ‘একটি ট্রাজেডি’ এবং এর ফলে হংকংকে স্বায়ত্বশাসন দেওয়ার চীনা প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘিত হবে।
করোনাভাইরাস নিয়ে বেইজিংয়ের প্রতি ওয়াশিংটনের অভিযোগ এবং হংকং পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্কে চরম তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে।
হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী দমন অভিযান চালাচ্ছে বলে সম্প্রতি আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছিল।এবার মার্কিন পুলিশের হাতে একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আমেরিকা জুড়ে যে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলছে সেকথা উল্লেখ করে পাল্টা বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, আমেরিকার চলমান ঘটনাপ্রবাহ দেশটির তীব্র জাতিগত সংকট ও পুলিশি সহিংসতার প্রমাণ বহন করছে। এ ছাড়া, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মার্কিন পুলিশ যে সহিংস আচরণ করছে তার ফলে মানবাধিকার সম্পর্কে আমেরিকার দ্বৈত আচরণ প্রমাণিত হয়েছে।