অনলাইন ডেস্ক
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের সামগ্রিক সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সঙ্কটময় ওই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের অতিরিক্ত সক্ষমতা, প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জামাদির সরবরাহ নিশ্চিত করার উপর জোর দিন।
সোমবার রাষ্ট্রদূত ‘বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণে অবদানের চ্যালেঞ্জ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনসমূহ’ মূল্যায়ন বিষযক এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দেয়া সমাপনী বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভার্চুয়াল বৈঠকটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তি মতে, আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ডাচ থিংক-ট্যাঙ্ক প্যাকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, রুয়ান্ডা এবং উরুগুয়ের স্থায়ী মিশন যৌথভাবে বৈঠকটির আয়োজন করে। বক্তৃতায় ঢাকার প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবার ফাতিমা শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রাক-স্থাপনার প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার অঙ্গীকারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিআইপিএসওটি)-এর ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব তুলে ধরে তিনি কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণ, যৌথ অনুশীলন, এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সৈন্য/পুলিশ অবদান দেশগুলোর (টি/পিএসএস) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সদস্য দেশ, জাতিসংঘ সচিবালয় এবং থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। জাতিসংঘে নেদারল্যান্ডস ও উরুগুয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত কারেল জে.জি. ভ্যান অস্টেরাম এবং রাষ্ট্রদূত কার্লোস আমোরানও বক্তব্য রাখেন।