ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টি এবং কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকার কাছে অস্ত্র বিক্রি না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছেন।
লেবার পার্টি এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্রিটেনের এসব অস্ত্র আমেরিকায় চলমান বৈধ প্রতিবাদ দমনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেপোলিস শহরে আফ্রো-আমেরিকান একজন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে হত্যার প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে জর্জ ফ্লয়েড নামে ওই আফ্রো-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গকে একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
ব্রিটেনের সরকারি নথি অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকার আমেরিকার কাছে কোটি কোটি পাউন্ডের টিয়ার গ্যাস, রায়ট সিল্ড, কথিত রাবার বুলেট এবং অন্যান্য ছোট অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। এসব অস্ত্র অভ্যন্তরীণ দমন-পীড়নের কাজে ব্যবহার করে থাকে মার্কিন সরকার। এজন্য এসব অস্ত্র-সরঞ্জাম আমেরিকার কাছে না বিক্রি করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করেছে বিরোধীদল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
তারা বলছে, এ ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমেরিকার কাছে বিক্রি করার ফলে ব্রিটেনের দুর্নাম হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন আমেরিকার চলমান বিক্ষোভ দমনের জন্য সেনাবাহিনী ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন তখন ব্রিটেনের বিরোধীদল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই আহ্বান জানালো।
এসব সংগঠন আরো বলছে, ব্রিটিশ সরকার কোন দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে এবং সেগুলো কোন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তা জানার অধিকার ব্রিটেনের জনগণের রয়েছে।