অনলাইন ডেস্ক
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে অর্ডার ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর সেই কারণেই জুন থেকে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হবে। বললেন বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিজিএমই এর কোভিড-19 শনাক্তকরণ ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুবানা হক বলেন, তবে শ্রমিকদের জন্য তহবিল গঠন করা যায় কিনা তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে যাদের চাকরি যাবে তাদের বিষয়ে বিজিএমইএ কোনও ব্যবস্থা নিবে না। কিন্তু এপ্রিল ও মে মাসে যেসব শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন তাদের বিষয়টি দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুই হাজার ২৭৪টি কারখানার মধ্যে এক হাজার ৯২৬টি চালু রয়েছে, পরিস্থিতির কারণে বাকিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।এর মধ্যে ৪৬টি কারখানার ১৮ হাজার শ্রমিকের কয়েক মাসের বেতন বাকি রয়েছে। তাদের বেতন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠান ঈদের আগের বোনাস দেয়নি। তারা আগামী ৬ মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বোনাস দিয়ে দিবে।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, বুধবার (৩ জুন) রাত পর্যন্ত ২৬৪ জন পোশাক শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করছে মালিকপক্ষ।
রুবানা হক বলেন, এ বছর পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হবে ২৩ বিলিয়ন ডলার। করোনায় স্থগিত হওয়া ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৬ ভাগ অর্ডার পুনরায় ফিরে পেয়েছি।