পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জমি-জমার জেরে মোশারেফ পন্ডিত (৫০) পা ভেঙ্গে দিল প্রতিপক্ষরা। মোশারেফ পন্ডিত হচ্ছেন উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের কাসেম পন্ডিতের ছেলে। মোশারেফ পন্ডিত জানান, জমি-জমার জেরে ৩০ মে শনিবার সকাল ৭টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে আমাদের একই গ্রামের রাজ্জাক হাজী ও তার ছেলে ইব্রাহিম একত্রিত হয়ে আমাকে এলোপাথারীভাবে মারতে থাকে।
আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে রাঙ্গাবালী উপজেলা কমিউনিটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে স্থানীয়রা সালিসির কথা বলে আমাকে প্রায় এক মাস ঘুরাতে থাকে। আমার পায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ৪ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইমাম সিকদার বলেন, মোশারেফ পন্ডিতের ডান পায়ে চোট লেগে ভেঙ্গে যায়। আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ১৭নং বেডে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে মোশারেফ পন্ডিতের স্ত্রী সাদিয়া বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ, আমার স্বামীকে একা পেয়ে রাজ্জাক হাজী ও তার ছেলে ইব্রাহিম হাতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাথারীভাবে মেরেছে। তারা প্রভাবশালী থাকায় কারো কাছে কোন বিচার আমরা পাই নাই।
এ বিষয়ে রাজ্জাকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি সদস্য শহিদুল মিয়া বলেন, আসলেই মোশারেফ পন্ডিতের উপরে অমানবিক নির্যাতন করেছে রাজ্জাক ও তার ছেলে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মন্নান হাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। রাঙ্গাবালী থানার এসআই ইউনুচ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।