পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন হোগলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত ইট ভাটায় ঘর উত্তোলন করার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন তোফাজ্জেল হোসেন মৃধা (৬৫), ফাহাত (২৫), জিয়া (৪৫), নুর আলম (৩৪), সায়েম (৩৫) ও পারভেজ হাসান (২৫)। আহতদেরকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাসূত্রে জানা যায় সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ইউপি সদস্য সায়েমের নের্তৃত্বে পরিত্যক্ত ইট ভাটায় ঘর উত্তোলন করতে যাওয়ায় অপর পক্ষ পারভেজ হাসান বাঁধা প্রদান করেন। পরে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে ৬ জন আহত হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ লিনজা বলেন, আহতরা আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সায়েম বলেন, আমার পরিবারকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। হাসান পারভেজ বলেন, ইট ভাটাকে কেন্দ্র করে পত্র পত্রিকায় অনেক কিছু লেখা লেখি হয়েছে। আমাদের ডাকুয়া ইউনিয়নের এই ইট ভাটাটি জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির অন্যতম কারন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইট ভাটাটির চুল্লি ভেঙ্গে ফেলেছেন এবং আর্থিক জরিমানাও করেছেন। ইট ভাটাটির প্রতি আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু ইট ভাটার মালিকের সাথে ইউপি সদস্য আতাত করে পরিত্যক্ত ইট ভাটায় ঘর উত্তোলন করায় এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান করে। তারা বাঁধা না মেনে জোর পূর্বক ঘর উত্তোলন করতে চায় এবং আমাকে মরধর করে। এ বিষয়ে ডাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদল খান বলেন, শুনেছি আজ সকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে করে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ইট ভাটা মালিককে ঘর তোলায় সহযোগিতা করায় ইউপি সদস্য সায়েম হোসেন মৃধাকে দোষারোপ করছে স্থানীয়রা। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।