December 26, 2024, 3:20 pm

চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল মাষ্টার এর বিরুদ্ধে থানায় জিডি।

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, June 9, 2020,
  • 98 Time View

সঞ্জীব দাস গলাচিপা পটুয়াখালী, প্রতিনিধি:
গলাচিপা উপজেলার চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল মাষ্টার বিরুদ্ধে মাছের টাকা না দেওয়ায় গলাচিপা থানায় জিডি করেছেন বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী হাজী মোঃ মিলন হাওলাদার। জিডিতে উল্লেখ করেন, চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে চরকাজল লঞ্চঘাটে মাছ ব্যবসায়ী হাজী মোঃ মিলন হাওলাদারের কাছ থেকে ১৫-২-২০২০ তারিখ ধার বাবদ ৩০,০০০/- টাকা নেয় এবং বিভিন্ন সময় মাছের আড়ৎ থেকে বাকিতে মাছ ক্রয় করে।

এক পর্যায় বাকিতে মাছ নেয়া টাকা হিসাব করিলে ৭৩,১৫০/- টাকা পায়। পাওনা টাকা চাহিলে বিভিন্ন সময়ে জামাল মাষ্টার আজ না কাল পরিশোধ করে দিব বলিয়া তালবাহানা করিয়া আসিতেছে। সর্বশেষ গত ১৫-৫-২০২০২ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় চরকাজল লঞ্চঘাটে আমার মাছের আড়তের সামনে বসিয়া জামাল মাষ্টারের কাছে পূনরায় ধার এবং মাছের টাকা চাহিলে পূর্বের ন্যায় আজ না কাল দিবে মর্মে তারিখ দেয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায় জামাল মাষ্টার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং আমাকে কোন টাকা পয়সা দিবে না বলিয়া জানায় এবং আমাকে আমার পরিবাপরকে মারাত্মক অস্ত্র দিয়া খুন জখমের হুমকি দেয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল মাষ্টার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে পরীক্ষার্থী (১) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, (২) মিরান গাজী (৩) মোঃ আরিফুল ইসলাম, (৪) মোঃ মাসুম বিল্লাহ, (৫) মোঃ রাকিব, (৬) মোঃ জাহিদুল, (৭) মোঃ নাজমুল, (৮) মোঃ সুজন ও আমার ছেলে আবু হাসনাত রাব্বিসহ ১১ জনের কাছ থেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০.০০০/-(বিশ হাজার) টাকা করে হাতিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকুরির কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে।

এ হুমকরি পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল মাষ্টারের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৮৯/২০) দায়ের করেন।এবিষয়ে চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার কথা ও মাছের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

এই অভিযোগ গুল সম্পূর্ণই মিথ্যা। আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য একটা মহল এই কাজগুল করছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত পূর্বক এই ঘটনার সত্যতা বের করতে হবে।

এই ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক ঘটনা যদি সত্য হয় এর জন্য তার শাস্তি পেতে হবে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যকে বলেন, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাছ ব্যবাসায়ী হাজী মোঃ মিলন হাওলাদারের আবেদনটি জিডি হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71