আলিফ মাহমুদ কায়সার
কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃ
“সুবজে বাঁচি,সবুজ বাঁচাই,নগর প্রাণ প্রকৃতি সাজাই” এ স্লোগানকে সামনে রেখে স্ট্যান্ড ফর স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। বাহারি রঙের ফুল গাছ সহ আম,কাঠাল,আকাশ মণি এবং বিভিন্ন প্রকার ঔষুধ গাছ রোপণের উদ্দেশ্য চান্দিনা এবং বরুড়া উপজেলায় প্রায় ১৪ টি গ্রামে শতাধিক বৃক্ষ দেওয়া হয়। উল্লেখিত প্রতিটি গ্রামের কেন্দ্রিয় মসজিদ এবং মন্দিরে চাড়া গাছ গুলো প্রদান করা হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরকরই ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ সফিকুল ইসলাম, সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা জনাব মোঃ আবুল বাসার
আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আবু সালেহ মুসা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান ইমাম, সাধারণ পরিষদ
কমিটির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম রাকিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জান্নাতুন নাঈম মীম, উপ-প্রচার প্রকাশনা বিষয় সম্পাদক মোঃ ফয়সাল ইসলাম, সদস্য মোঃ মুসলিম সরকার
আরও উপস্থিত ছিলেন চান্দিনা ব্লাড ডোনেট সোসাইটির এডমিন, বিন ইয়ামি জোবায়ের এবং সুমাইয়া ইলেকট্রনিকস এর পরিচালক জনাব মোঃ আহাদ হোসেন লিটন প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, গাছপালা শুধু পরিবেশের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহন ও অক্সিজেন ত্যাগ করে উপকারের পরিসমাপ্তি ঘটায় না। বড় বৃক্ষ বর্জপাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বড় গাছপালা আজ যেন খুজে পাওয়া দুষ্কর ।তাই আমাদের উচিৎ
বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করা।
গাছ পরিবেশের বন্ধু। শুধু পরিবেশের নয়,গাছ আমাদের ও সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু। এই সত্যটি আমরা সব সময় উপলব্ধি করতে সক্ষম না হলেও বাস্তবতা এটাই। এই প্রকৃতি এবং পরিবেশকে সুন্দর ও বাসযোগ্য রাখার পাশাপাশি অক্সিজেন নামক মহা মূল্যবান উপাদান দিয়ে বাচিয়ে রেখেছে। একটি গাছের উপকারের কথা আসলে বলে শেষ করা যাবে না কিছুতেই। গাছের এমন কিছু উপকারিতাও রয়েছে যা হয়তো আমাদের জানা নেই।
প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল চলছে। গাছ লাগানোর সবচেয়ে উপযুক্ত মৌসুম এটাই। নিয়মিত বৃষ্টি পাতের ফলে মাটিতে যথেষ্ট রস সঞ্চিত আছে।
সাধারণ পরিষদ কমিটির সদস্য মোঃ মুসলিম সরকার বলেন যে বর্তমানে আমরা যে হারে গাছ কাটি, আমাদের উচিৎ ১টি গাছের বিপরীতে নতুন ৫ টি গাছ রোপণ করা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পোষণ করেন বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।