অনলাইন ডেস্ক
বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে (সোলার হোম সিস্টেম) বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষ বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করায়, বাংলাদেশকে ২০২০ সালের বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্টে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) গ্লোবাল স্ট্যাটাস প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে মঙ্গোলিয়া। মোট জনংসখ্যার ১১ শতাংশ মানুষ বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করায় নেপাল তালিকায় প্রথম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সেচের কাজেও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। দেশটির ১ হাজার ৫০০ সেচ পাম্প সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে চালু রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর পৃথিবীতে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গড়ে বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর বাংলাদেশ এ হার বৃদ্ধিতে পৃথিবীতে অন্যতম।
২০১০ সালে বাংলাদেশে ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় ছিল, যা ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে। খারাপ মানের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার বাংলাদেশে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার না হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়।
রিনিউবেল এনার্জি পলিসি নেটওয়ার্ক ফর দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি (আরইএনএ ২১) নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে সারা বিশ্বের অন্যতম প্রধান গবেষণা ও নীতি প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইউএনইএফ, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইউএনআইডিও, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক, এডিবি , গ্রিনপিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা আরইএনএ ২১ সদস্য। এ ছাড়া ১২টি দেশ এ সংস্থাটির সরাসরি সদস্য।