অনলাইন ডেস্ক
অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল, স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।
বুধবার (১৭ জুন) এসবি ইমিগ্রেশন বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় অনুরোধ জানিয়েছে দুদক। তবে পাপুল এরইমধ্যে বিদেশে অবস্থান করায় তার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর দেশে এসে থাকলে যেন বিদেশ যেতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
কুয়েতের গ্রেফতার এমপি পাপুলের বিচার দাবি করেছেন কুয়েত থেকে ফেরা ভুক্তভোগীরা। তারা বলছেন, প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েত নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করতো তাদের। কুয়েত সিআইডির কাছে পাপুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে দেশে ফিরে সময় সংবাদকে কথা জানান তারা।
এদিকে, পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশের সিআইডি। দুদকও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে ৬ জুন কুয়েতে গ্রেফতার করা হন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। ইতিমধ্যে পাপুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১ প্রবাসী বাংলাদেশি। সেখানেও উঠে আসে নানা তথ্য।
সাক্ষ্য শেষে দেশে ফিরে দুজন ভুক্তভোগী জানান, প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েত নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করতো পাপুলের লোকজন। এমপি পাপুলের বিচার দাবি করেন তারা।
পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে দেশের সিআইডি। ইতিমধ্যে এমপি পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
এদিকে মানব ও অর্থপাচারে সহযোগী হিসেবে দেশটির দুই সরকারি কর্মকর্তাসহ তিন জনকে ঘুষ দেয়ার কথা রিমান্ডে স্বীকার করেছেন পাপুল। মঙ্গলবার (১৬ জুন) আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচারে সহায়তা করায় ওই তিন কর্মকর্তাকে চেক ও নগদ মিলিয়ে প্রায় ২১ লাখ কুয়েতি দিনার দিয়েছেন পাপুল। কুয়েতে মানবপাচারের অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের জেল হতে পারে পাপুলের।