সঞ্জিব দাস, গলাচিপা পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে সব হারিয়ে পথে বসে গেছেন অসহায় মস্তফা সরদার (৫০) এবং তার পরিবার। মস্তফা সরদার হচ্ছেন উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের মৃতঃ মতলেব সরদারের ছেলে। মস্তফা সরদার জানান, আগুনমুখা
নদীর পাড়ে আমার বাড়ি। বড় বা ছোট ঝড় আসলেই সর্ব প্রথম আমি বুঝতে পারি এবং সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আমার ঘরের উপরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘরের মাটি ভিটি পানিতে ধুয়ে গেছে।
আমি গরিব মানুষ কীভাবে যে আবার ঘর তুলব তা ভেবে পাচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, আমি একজন সাধারণ দিন মজুর। আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। এর উপর আমার প্রতিবন্ধি বোন আমার সাথে থাকে। বেলি বেগম (৪০) নামের প্রতিবন্ধি বোনটিকে আমার সংসারে রেখেছি। তার পরিবারের ভরণ পোষণের পর ঘর তোলা সম্ভব নয় বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
এবিষয়ে মস্তফা সরদারের স্ত্রী নুরজাহান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাগো নেত্রী শেখ হাসিনা সকলকে ঘর দেয় বলে শুনেছি। আমিও তার কাছে ১টি ঘর পাওয়ার আশায় আছি। আমার বিশ^াস তিনি আমাদেরকে অবশ্যই ১টি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন। তিনি আরও বলেন,
আমার স্বামী একজন দিন মজুর। প্রতিদিন যা আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। ঘর তুলব আবার কী করে? এ বিষয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য রফিক খলিফা জানান, আসলেই মস্তফা সরদার একজন গরীব মানুষ, দিন মজুর।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে তার ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাকে ১টি সরকারি ঘর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সরকারি ঘর আসলে তার জন্য বরাদ্ধের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার নিজের জায়গা থাকলে সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।