অনলাইন ডেস্ক
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব স্থগিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) প্রধান বরাবর ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত আদেশের জন্য অনুরোধ করেছেন সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
চিঠিতে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর জন্য অনুরোধও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্যের কাছে জানতে চাইলে বলেন, সংসদ সদস্য পাপুলের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
এরইমধ্যে তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে অনুসন্ধান কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিতে পারেন। যা অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ের রুটিন কাজ।
গত ১৮ জুন পাপুল, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয় দুদক।
ওই দিনই পাপুল দম্পতি ও পাপুলের শ্যালিকার আয়করের নথিপত্র চেয়ে এনবিআরের কর অঞ্চল-৫ ও কর অঞ্চল-১৩ এর ডেপুটি কমিশনার বরাবর দেওয়া চিঠিতে গত তিন অর্থবছরের আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চায় দুদক।
অন্যদিকে পাপুল ও তার স্ত্রীর নির্বাচনী হলফনামা পেতে নির্বাচন কমিশনে তাগিদপত্র দেয় সংস্থাটি। এর আগে গত ১৬ মার্চ তাদের নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী (ফরম-২০), সম্পদ ও দায় এবং বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের বিবরণী (ফরম-২১), দাখিল করা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ প্রার্থীর দাখিল করা অন্যান্য রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল।
সংসদ সদস্য ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে লোন বরাদ্দ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ মানিল্ডারিং করে বিদেশে পাচার এবং শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।