December 26, 2024, 12:15 pm

অবেশেষে নিউ ইয়র্কেই ফিরে গেলেন ডা. ফেরদৌস

Reporter Name
  • Update Time : Thursday, June 25, 2020,
  • 136 Time View

অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে নিউ ইয়র্কে ফিরে গেলেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিযুক্ত হয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেন ডা. ফেরদৌস। এক সময় প্রবাসীদের নিকট আস্থার নাম হয়ে ওঠে ডা. ফেরদৌস।

নিউ ইয়র্কে করোনার প্রকোপ কমে গেলে তিনি মাতৃভূমির জন্য কাজ করতে উদ্যোগী হন। নিজ আগ্রহে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন।

ডা. ফেরদৌস খন্দকার নিউ ইয়র্ক থেকে উড়াল দেওয়ার পূর্বেই দেশে তার নামে নানা রটনা ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেও তিনি চলে আসেন। তবে দেশের মাটিতে পা দিতেই তাঁকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষ করে তিনি দেশের করোনা রোগীদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেন। ‘অজ্ঞাত’ কারণে বাধাপ্রাপ্ত হন।

মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে অন্তত এক সপ্তাহ দেশে থাকার কথা জানালেও অজ্ঞাত কারণে বুধবার রাতেই তিনি একটি বিশেষ বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন।

নিউ ইয়র্কের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ফেরদৌস কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর জ্যাকসন হাইটসে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি আলোচিত হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েও সাড়া ফেলেন।

সম্প্রতি তিনি দেশে এসে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষের পাশে থেকে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারপর শুরু হয় নানান জটিলতা।

তাকে ‘বঙ্গবন্ধুর খুনির আত্মীয়’ হিসেবে বর্ণনা করে, অথবা ‘জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগ তুলে এক ধরনের প্রচার শুরু হয় ফেইসবুকে, যা তিনি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন।

এরমধ্যেই গত ৭ জুন কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় পৌছান ডা. ফেরদৌস। ওই ফ্লাইটের ১২৯ জন যাত্রীর মধ্যে ১২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে ফেরদৌসকে পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

ফেরদৌস জানান, এবার তিনি দেশে এসেছিলেন তিন সপ্তাহের সময় নিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেওয়া এবং বনানীতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করা। কিন্তু এর মধ্যে দুই সপ্তাহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য হওয়ায় তার সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে।

ডা. ফেরদৌস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই কুইন্স হসপিটাল এবং প্রেসবাইটেরিয়ান কুইন্স হসপিটালে চিকিৎসক হিসেবে তিনি ‘অ্যাফিলিয়েটেড’। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে তার তিনটি ক্লিনিক আছে, সাতজন ডাক্তার তার সাথে কাজ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তারির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত ডা. ফেরদৌস। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71