এম.এস রিয়াদ: বরগুনা সদর উপজেলার ১০ নং নলটোনা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পদ্মা গ্রামে মাছ ধরার জাল পাতাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫জুন) সকাল ৯ টার দিকে বিষখালী থেকে কুমিড়মারা চড় নদী এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে সবুজের পাতানো জালের উপরেই নেছার জাল ফেলতে গেলে তাতে বাঁধা দেয়ায় হুমকি প্রদান করা হলে তৎক্ষণাত এ ঘটনা ঘটে।
এতে গুরুতর আহত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আবদুর রহিমের ছোট ছেলে সবুজ (২৮)। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন আবদুর রহিমের বড় ছেলে শহিদুল (৩০), আনোয়ারের ছেলে ছগির (৩৫)।
করোজোড়ে ক্ষমা চাওয়ার পরেও মারধর থেকে ছাড় পায়নি মৃত. কাছেম আলীর ছেলে অসুস্থ বৃদ্ধ আঃ রহিম (৫০)।
বাবুগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মারামারির অন্যতম পরিকল্পনাকারী জালালের হোটেলে আগেরদিন (বুধবার) ছক করা হয়েছে। ভাড়াকৃত পেটুয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ঘটনাটিতে উপস্থিত থেকে এবং মারধরে অংশগ্রহন করে একই গ্রামের আঃ লতিফের ছেলে নেছার (৩৫), ভাই জালাল (৩০), মৃত. আঃ রশিদের ছেলে রুহুল (৪০), বাদশার ছেলে মিলন (২৫), রুহুলের ছেলে সাকিল (২০), নুরজামাল (২৫), মতির ছেলে তোতা (৩৫) সহ লাঠিয়াল বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা মেরে গুরুতর আহত করেন।
জানাগেছে, এরা এলাকায় বিভিন্ন সময় মাদক ব্যবসা ও তান্ডব লিলা চালিয়ে আসছে। এভাবে মারমারি করে শালিস বৈঠক মানতেও নারাজ থাকেন। অভিযোগ ও ভুক্তভোগীরা জানান, কিছুদিনপূর্বে পদ্মা গ্রামের বাসিন্দা আফজালের জাল চুরি করায় নেছারকে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকে পঁচিশ শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। কয়েক দিনের মাথায় সবুজের সাথে এমন ঘটনা ঘটে। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সবুজকে জালাল দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে সবুজের পাতানো জালের উপরে জাল ফেলে এ মারামারির ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তাই নদীতে জাল পাতাকে কেন্দ্র করে মারধরের এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।