অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘ দিনে দাবির পর অবশেষে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে রাঙামাটিতে স্থাপন হবে পিসিআর ল্যাব।
আজ শুক্রবার সকালে ১০টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের ৬৯ লাখ টাকার চেক রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার কাছে হস্তান্তর করেন রাঙামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
এ সময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদ্বীপ কান্তি চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে দেওয়া ৬৯ লাখ টাকার চেক রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।
ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি লিখা হবে। প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়ার পর দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
পিসিআর ল্যাব স্থাপন হলে রাঙামাটি জেলাবাসীর করোনা টেস্টের ভুগান্তি কমবে। শুধু রাঙামাটি জেলা নয়, অপর দু’পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের মানুষের করোনা নমুনাগুলো এ ল্যাবে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
রাঙামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, করোনা প্রর্দুভাব শুরু থেকে রাঙামাটিবাসি দাবি জানিয়ে আসছিল একটি পিসিআর ল্যাবের।
কারণ এ অঞ্চলটি খুবই দূর্গম। এখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানো আরও কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। যার কারণে রাঙামাটিবাসির কষ্টের কথা শুনে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
তাই এ ৬৯ লাখ টাকার চেক প্রদান করেছে ল্যাব স্থাপনের জন্য। আশা করি ল্যাব স্থাপনের পর পাহাড়বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমবে।
এদিকে দীর্ঘ দিনের দাবি পুরণ হওয়ার খবর পেয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে রাঙামাটির সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, পাহাড়ের মানুষের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপের মত যদি অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও যদি দাঁড়াতো তা হলে স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক সমস্যায় সমাধাণ হয়ে যেত।