করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সামনে আসছে বলে সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান। সোমবার (২৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান সব দেশকে রাজনৈতিক বিভাজন দূর করে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ১৪টি দেশের পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলের একটি হাসপাতাল। কোভিড পরিস্থিতিতে সাও পাওলোতে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা এ হাসপাতালের শেষ রোগীকে বিদায় জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমন না যে ব্রাজিলে সংক্রমণের হার একেবারে কমে গেছে।
তবে এ হাসপাতালে আর কোনো রোগী না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এটি। সাও পাওলোতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমায় শহরটিতে খুলে দেয়া হচ্ছে গির্জা। রিও ডি জেনিরোতেও খুলে দেয়া হয়েছে দোকান, সেলুন ও বিউটি পার্লার। তবে ব্রাজিলে এখনও প্রতিদিন ২৯ থেকে ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে ব্রাজিলের এ অবস্থার কারণেই ইইউ নিরাপদ দেশগুলোর তালিকা থেকে ব্রাজিলকে বাদ দিয়েছে। সাথে আছে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র । পহেলা জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানসহ আপাতত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ১৪টি দেশের নাগরিক ইউরোপ ভ্রমণে যেতে পারবে।
এর আগে করোনা মহামারিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমান্ত, জুলাই থেকে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রথমে ৫৪ দেশের কথা বলা হলেও পরে সোমবার (২৯ জুন) চূড়ান্ত তালিকায় ১৪ দেশ রাখা হয়। তবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিটের ট্রান্সিশন সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্যবাসী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
যুক্তরাজ্যে সংক্রমণের হার কিছুটা কমায় ৪ জুলাই থেকে রেস্তোরাঁ, সিনেমাহল, সেলুন, যাদুঘর এবং শিশুদের খেলার পার্ক খুলে দেয়া হবে।
চীনে করোনায় নতুন করে প্রতিদিনই আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। চীন প্রথম ডব্লিউ এইচ ও’কে ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করার পর মাত্র ছয়মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি এবং মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
এ অবস্থায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউ এইচ ও’ প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস সতর্ক করে বলেন, করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সামনে অপেক্ষা করছে।
এদিকে, স্পেনে অন্তত ৫২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী।