জেলার কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামে গত ২৯শে জুন রাত আনুমানিক ৮ঃ৩০ মি. এর সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে আহত হাবিব মোল্লা ও তার পরিবার জানায়।
জানাগেছে ঘটনার দুদিন আগে ২৭ শে জুন আহত হাবিবের বড় ভাই ওয়াদুূদ মোল্লার সাথে একই এলাকার হাতেম মাতুব্বর এর ছেলে খোকন মাতুব্বর, ফোরকান গাজীর ছেলে মিরাজ গাজী, মুছা গাজীর ছেলে বেল্লাল গাজী ও হাসেম গাজীর ছেলে রুস্তম গাজীর সাথে জুয়া খেলায় বাধা দেয়ায় তর্ক বির্তক হয় পরে কোন সংঘর্ষ ছারাই উভয় ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে ঘটনার দিন রাতে ওয়াদুদ মোল্লার ছোট ভাই হাবিব মোল্লাকে উত্তর টিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একা পেয়ে কোন কিছু বুজে ওঠার আগে উপরোল্লিখিত ব্যাক্তিরা হাবিবের উপর হামলা চালায়।
দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকে। আহত হাবিবের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে দুঃস্কৃতিকারীরা পালিয়ে জেতে সক্ষম হয়। পরে হাবিবের আত্নীয় ও এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে হাবিবকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়া আসলে হাবিবের অবস্থা গুরুতর হওয়া তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাবিবের ভাই ফোরকান মোল্লা জানায় এরা এলাকায় চিন্হিত সন্ত্রাসী ও জুয়ারু এদেরকে একাধিক বার বলার পরও কোন কর্নপাত করেনি বরং উল্টো আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মামলা করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফোরকান বলেন আমরা ওদের ভয়ে আতংকিত এবং মামলা না করার জন্য বিভিন্ন লোক মারফত হুমকি অব্যাহত রয়েছে।
এ অবস্থায় আমরা নিজেরাই নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। সচেতন মহল মনে করছেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে ও মোবাইল জুয়া চলমান রয়েছে এর ফলে এলাকায় বিভিন্ন প্রকারের চুরি ছিনতাই বেরেই চলেছে। এদেরকে এখনি আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তি নিশ্চিত করা নাহলে পরবর্তীতে এলাকায় বড় ধরনের যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকাবাসী এহেন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানা। এ বিষয় কথা বলতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আহতের বড় ভাই ফোরকান মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে।