সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এর আগে, সকালে গণভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা পরিশোধের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর মধ্যেই একইদিনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাট-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো: ইমরান আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব পাটকলে কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা সংক্রান্ত বিধিমালা ও পরিমাণ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাটকলগুলো বন্ধ হলে শ্রমিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা-২৬ এর উপধারা (৩) অনুযায়ী ৬০ দিনের মজুরি, চাকুরীবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি (জাতীয় মজুরী কাঠামো-২০১৫ অনুযায়ী), পি.এফ তহবিলে জমাকৃত সমুদয় অর্থ এবং নির্ধারিত হারে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।
সেখানে বলা হয়, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রতি শ্রমিক গড়ে ১৩ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা করে সর্বোচ্চ ৫৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাবেন। একই সাথে ২০১৩ সাল হতে এ পর্যন্ত অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের (৮ হাজার ৯৫৬ জন) ও বদলি শ্রমিকদের সমুদয় পাওনাও একত্রে পরিশোধ করা হবে।
পাওনা পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিকদের পাওনার অর্ধেক নগদে এবং বাকি অর্ধেক তিনমাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র আকারে দেয়ার ফলে শ্রমিকগণ একপ্রকারে বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন, যা তাকে প্রতি তিনমাস অন্তর উল্লেখযোগ্য পরিমানে মুনাফা দিবে। এতে শ্রমিকদের জন্য একটি বাড়তি আর্থিক সুরক্ষা তৈরি হবে।