মিয়ানমারে ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে পার্লামেন্ট নির্বাচন। ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন (ইউইসি) এ তারিখ নির্ধারণ করেছে।
ইউইসি চেয়ারম্যানের বিবৃতি তুলে ধরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টিভি এ খবর জানিয়েছে। মিয়ানমারে প্রথম গণতান্ত্রিক সরকারের যাত্রা শুরুর পর দেশটিতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথ পরিক্রমায় এ নির্বাচনকে এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
দেশটিতে বহু বছর পর ২০১৫ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক উপায়ে সবার অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রী অং সান সুচি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসেন।
এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে কয়েক দশকের জান্তা শাসনের অবসান ঘটে। নতুন পার্লামেন্ট অধিবেশনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
কিন্তু ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে পালানোর ঘটনায় সুচির প্রশাসন ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক চাপে পড়েছে।
সংবিধানের আওতায় মিয়ানমারে এখনও সেনাবাহিনীর হাত শক্তিশালী।
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর ওপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আছে। তাছাড়া, পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনও সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত আছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে সুচির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (এনএলডি) অন্যান্য দলের চেয়ে ভালো ফল করার আশা আছে।