বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর আরো ১১৯ সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। নিয়মিত আদালত না খোলা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এ আদেশ দিয়েছেন।
ওই ১১৯ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে জারি করা গেজেট চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা পৃথক দুটি রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।
রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল কাইয়ূম লিটন ও এ কে এম আশরাফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ূম লিটন সাংবাদিকদের জানান, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া আইনসম্মত না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। আদালত এক আদেশে রিট আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে গেজেট স্থগিত করেছেন।
গত ৭ জুন বিজিবির ১১৩৪ জন সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে সরকার। এ বিষয়ে বলা হয়, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২-এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-এর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১ এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৯৭১ সালের ১৬ডিসেম্বর)বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ১১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো।
ওই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে দুটি রিট আবেদন করেন ১১৯ বিজিবি সদস্য। বাগেরহাট সদর উপজেলার বেগুরগাতি গ্রামের মোল্লা মোশাররফ হোসেনসহ ৮৭ জন একটি এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেথবাড়ীর ফজলুল হকসহ ৩২ জন আরেকটি রিট আবেদন করেন। এই দুটি রিট আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।
এর আগে বিজিবির আরেক সদস্য হাবিলদার (অব.) মো. আবু তাহেরের করা এক রিট আবেদনে একই হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৭ জুন এক আদেশে তাঁর ক্ষেত্রে গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।