কুমিল্লার চকবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মতিনের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে মতিনের পরিবার ও এলাকাবাসী। এজাহারে ১৪জনের নাম উল্লেখ থাকলেও ৩জন গ্রেফতার হওয়ায় আতংকে দিন কাটছে মতিনের পরিবারের সদস্যদের।
আসামীরা নানা সময় হুমকী ধুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সংরাইশ আব্দুল মতিনের বাড়ীর সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মতিনের বড় ছেলে মো: শামীম উদ্দীন বলেন, তার বাবা জেলার চকবাজার এলাকার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি ৪০ বছর যাবত বাজারসহ এলাকার নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড ও বিচারকার্য পরিচালনা করে এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতেন।
যার কারণে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা সহ্য করতে পারতো না। সংরাই এলাকায় ২০০৩ সালে মহিন হত্যার মাধ্যমে সহিংসতা ও অরাজকতা শুরু হয়। এরপর থেকে ২০১১ সালে তান্ডব ও সহিংসতা, ২০১৫ সালে মহিনের চাচা সহিদকে হত্যা করা হয়। এসবের মূল হোতা ছিল জনু বাহিনীর প্রধান জনু।
জনু পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর জনু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আল আমিন বাহিনীর উত্থানের মাধ্যমে শুরু হয় নতুনভাবে মাদক ব্যবসা, চাদাবাজি, ব্যাংক ডাকাতি ও অসৎব্যবসা। তাদের বিরুদ্ধে ১০/১২টি মামলা এখনো চলমান।
এসব সন্ত্রাসীরা তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। প্রকৃত খুনিদের ফাঁসি এবং তাদের মদদ দাতাদের সঠিক বিচারের জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।
এসময় তারঁ সন্তান বুদ্ধি প্রতিবন্ধিসহ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। হত্যাকারীদের আটকসহ বিচার দাবীজানান এলাকাবাসী ও পরিবারগণ।