গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের চরচন্দ্রাইল গ্রামের রফিক গাজীর ছেলে জুয়েল গাজী (১৮) নামে এক যুবককে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার সূত্রে জানা যায় গলাচিপা দশমিনা উপজেলার সাবেক এমপি ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী’লীগের কেন্দ্রীয়
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এর নামে ভুয়া ফেইজবুক আইডি খুলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে
নেয়। এক পর্যায়ে এই প্রতারক জুয়েল গাজী পটুয়াখালীর
চরপাড়া নিবাসী মুফতি সালাউদ্দিনকে আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইন নামের ফেইজবুক আইডি থেকে রিকুয়েস্ট পাঠালে সে রিকুয়েস্ট গ্রহন করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে কথা ও কুশলাদি হয় কিন্তু মুফতি সালাউদ্দিনের কথার মাঝে একটু সন্ধেহ হয়। যখন আসামী জুয়েল গাজী প্রতারনা করে তার কাছে লাভবান হওয়ার জন্যে একটি অসহয় ছেলের জন্য বিকাশে টাকা চায় এবং বিকাশ নম্বার প্রদান করেন। আসামী ছদ্ববেশে টাকা চাওয়ার বিষয়টি মুফতি সালাউদ্দিনের পুরোপুরি সন্দেহ হয় এবং তখনি মোবাইলের মাধ্যমে আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের পিএস সঞ্জায় কুমার দাসকে জানানো হয়। অতঃপর সঞ্জয় কুমার দাস
আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইনকে অবহিত করেন এবং বিকাশ
নাম্বরের সুত্র ধরে খোজাখুজি করে ১১ জুলাই শনিবার
সকাল ৯.৩০ মিনিটের প্রতারক জুয়েল গাজীকে ধরে।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদে আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের নামে
ভুয়া আইডি খুলে প্রতারনা করে টাকা চাওয়ার কথা শিকার
করে। পরে তারা প্রতারকের কাছে থাকা মোবাইল ফোন চেক
করে আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইন নামের ছবি সহ ফেইজবুক সচল পায় এবং গলাচিপা থানাকে অবহিত করে।
পরে আসামীকে গলাচিপা থানায় নিয়ে আশা হয়। এতে
করে আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এর মান সন্মান ক্ষুন্ন করা হয় বিধায় আসামীর বিরুদ্দে আইন গত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্যে থানায় এসে মোঃ হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন । গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে সে বলেন আমরা আসামীকে গ্রেফতার করেছি এবং আসামীর বিরুদ্দে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা নিয়ে গ্রেপ্তার করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছ।