সাতক্ষীরা থেকে ভোরে রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার মো. সাহেদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ‘কমেডি’ নাকি ‘ট্র্যাজেডি’ নাটক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই প্রশ্ন তুলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনি টিটো হায়দারকে (ছাত্রদল) খুঁজে পান, আপনি ছাত্রদলের আকরামুল হাসানকে (ছাত্রদল) বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান অথচ মো. সাহেদ কে কী খুঁজে পাননি এতোদিন ধরে? তাকে (মো. সাহেদ) নাকি পালানোর সময়ে নৌকার মধ্যে সাতক্ষীরার কোনো অঞ্চল থেকে ধরে হয়েছে। এইটা নাটক কমেডি নাকি এটা ট্র্যাজেডির নাটক আমরা জানি না। নাটক রচনা করতে পারে আওয়ামী লীগের প্রশাসন। এটা নিঃসন্দেহে।’
‘মানুষকে মনে হয় বোকা! মিডিয়াকে তারা নিয়ন্ত্রণ করে বলানোর চেষ্টা করেন। অতএব যা বলানোর তাই বলানোর তারা চেষ্টা করেন। জনগণকে অবিশ্বাস করে বলেই জনগণকে অবজ্ঞা করে বলেই তারা(সরকার) রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করেন, তারা ভোটার ছাড়া নির্বাচন করেন। কারণ তারা জনগণ যে একটা শক্তি সেটাকে পাত্তাই দেয় না।’
মো. সাহেদ প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘তার মা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাহেদ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, সে আওয়ামী লীগের টেকশোতেও থাকেন। এতো লুটপাট করে, বাটপারি করে টাকা ইনকাম করে তিনি হয়ে গেলেন হাওয়া ভবনের লোক!’
‘সুধা ভবনের লোক হওয়া খেলে পরে হাওয়া ভবনের লোক হয়ে যায়। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের দিন। যত বাটপার, যত ঠক, যত ক্যাসিনো-দুর্নীতিবাজ সব বেরিয়েছে সুধা ভবন থেকে। যখন এটা প্রচার-প্রকাশ হয়ে গেছে তখন- না না এরা বিএনপি করতো, জামায়াত করতো, না হলে হাওয়া ভবনের লোক। এসব কথা বলে তারা(সরকার) বিভ্রান্ত তৈরির চেষ্টা করে। জনগণ বোঝে, বিভ্রান্ত হয় না।’
সংগঠনের সভাপতি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অহিদুল ইসলাম চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব শাহজালাল আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সিনিয়র সভাপতি সামছুজ্জোহা আলম, সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল মহানগরের দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শ্যামপুর থানা মহিলা দলের সভানেত্রী নাসিমা তালুকদার প্রমুখ।