পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এবার সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসবে ভারতের বিমানবাহিনী।
আগামী সপ্তাহেই বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কমান্ডাররা এই বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর। চীনের নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে কি পরিস্থিতি, তার পর্যালোচনা চলবে বৈঠকে।
পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। ফিঙ্গারস এলাকা থেকে সরতে চাইছে না চীন সেনা। ১৪ ঘন্টা বৈঠকের পরেও দ্বিচারিতা করেছে চীন।
এবার পদক্ষেপ নিতে চাইছে বিমানবাহিনী। পূর্ব লাদাখ জুড়ে রাফায়েল ফাইটার জেট মোতায়েন করার কথা ভাবছে বিমানবাহিনী।
উল্লেখ্য ফ্রান্স থেকে চলতি মাসের শেষেই ভারতে আসছে রাফায়েল জেট। ২২শে জুলাই থেকে এই বৈঠক শুরু হতে চলেছে বিমানবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে। উপস্থিত থাকবেন এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়া।
থাকবেন সাতজন কমান্ডার ইন চিফ। পূর্ব লাদাখে ও অন্যান্য উত্তর প্রান্তের সীমান্ত জুড়ে কীভাবে বিমানবাহিনীর রণসজ্জা হবে, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হবে বৈঠকে।
সীমান্ত কত দ্রুত ফাইটার জেট মোতায়েন করা যায়, কত সংখ্যায় তা মোতায়েন করা হবে, তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। বিমানবাহিনীর কমান্ডাররা চাইছেন রাফায়েল কমব্যাট এয়ারক্রাফট এমন অবস্থানে রাখা হবে, যা দ্রুত যে কোনও পরিস্থিতিতে কাজে লাগানো যায়।
ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি পূর্ব লাদাখে আরও ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে। মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টার। চীন সীমান্তে চলছে ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারি।
১৫ ঘন্টার বৈঠকের ফলাফল খতিয়ে দেখেছেন চায়না স্টাডি গ্রুপ বা সিএসজির প্রধান ও দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তার হাতে এসে পৌঁছায়।