মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। বিভিন্ন ইস্যুতে লেগেই আছে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পর এবার পাল্টা জবাব দিলো চীন।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেংগদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের জন্য মার্কিন দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৪ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিসিটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে। দুই দেশের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই নির্দেশ দিলো বেইজিং।
এদিন এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চেংদুতে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের সব ধরনের কার্যক্রম ও প্রক্রিয়ার লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। সেই সঙ্গে কনস্যুলেটটির সব ধরনের বাণিজ্য এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অভিযোগ তোলে, চীন করোনাভাইরাস টিকা গবেষণায় হ্যাকিং করার চেষ্টা করছে। হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য দু’জন চীনা নাগরিককে অভিযুক্ত করা হয়।
একইদিন রাতে টেক্সাসের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট ভবন থেকে ধোঁয়ার কুন্ডুলি উড়তে দেখা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, গোপন নথি পুড়াতে গিয়ে আগুন লাগার এই ঘটনা ঘটে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মার্কিন পুলিশ। তবে তাদেরকে কনস্যুলেটের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।পরদিন বুধবার সকালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট শুক্রবারের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া হুমকি দেয় চীন। এক দিন পরেই চেংদুর মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ আসল।
এদিকে বৃহস্পতিবার সান ফ্র্যান্সিসকোর চীনা কনস্যুলেট থেকে ৩ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। ভিসায় চীনা সামরিক বাহিনীর পরিচয় গোপন করা অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
মার্কিন প্রসিকিউটর জানান, যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বিজ্ঞানী পাঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কাজ করছে চীনের এসব নাগরিক।