ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটে জালনোট যাচাই সেবা দিবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। একইসঙ্গে সারা দেশের সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটেও জালনোট যাচাই সেবা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে কোরবানির পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করে এ সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনার এ মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে।
এবার রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে মোট ১৮টি পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে উত্তরে ৬টি ও দক্ষিণে ১২টি। এসব পশুর হাটে মোট ১৯টি ব্যাংকে জালনোট শনাক্তকারী বুথ স্থাপন করে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি হাটে অন্তত একটি ব্যাংকের নোট যাচাইকরণ সেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে গাবতলী হাটে দায়িত্ব পালন করবে দুটি ব্যাংক।
সার্কুলার অনুযায়ী, জালনোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তাদের দ্বারা হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে।
ঢাকার বাইরে যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রধান শাখাগুলোর মাধ্যমে দায়িত্ব বন্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই এমন জেলাগুলোতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও থানা-উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকে দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখার বন্টিত দায়িত্ব অনুযায়ী অন্যান্য ব্যাংকের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শাখাগুলোও যাতে পশুর হাটগুলোতে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দেয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুথ স্থাপন কার্যক্রমের সুবিধার্থে ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, জেলা মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা এবং সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার নির্দেশনা রয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
বুথে ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে ‘জালনোট শনাক্তকরণ বুথ’ উল্লেখ করে ব্যানার বা নোটিশ প্রদর্শন করতে হবে। বুথে নোট যাচাইকালে কোনো জালনোট ধরা পড়লে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।