গোটা দেশ করোনার আতংকে আতংকিত । মানুষের জীবন মরণের সন্ধিক্ষণ চলছে।
করোনা নামক মহামারী দূর্যোগে সবাই যেখানে নির্ধারিত দ্বায়িত্বটুকু
পালন করতে ভীতসন্ত্রস্ত সেখানে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অফিস
সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সমীরন নন্দী গলাচিপা হাসপাতালে করোনা
স্যাম্পল সংগ্রহের শুরু থেকে স্ব-প্রণোদিত হয়ে করোনা স্যাম্পল সংগ্রহের
কাজে সরাসরি যুক্ত হন। গত বুধবার তিনি করোনা আক্রান্ত হন।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:মনিরুল ইসলাম বলেন,
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাব টেকনিশিয়ান এর তিনটি পদ শূন্য
থাকায় ইপিআই টেকনিশিয়ান শফিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারী কাম
কম্পিউটার অপারেটর সমীরন নন্দীকে করোনা স্যাম্পল সংগ্রহের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়।
তারাও আন্তরিকভাবে দ্বায়িত্ব পালন করে। সমীরন নন্দীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালে
গত বুধবার তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। গলাচিপা হাসপাতালের
ডাক্তার, নার্স সহ সকলে নিরলস ভাবে জনসাধারনের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য সেবাদানে আমরা যথাযথভাবে পার্সোনাল প্রোটেকশন
ইকুইয়েটমেন্ট (পিপিই), হ্যান্ড গ্লোভস, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যাবহার করে
রোগী সেবা অব্যাহত রেখেছি। তবে এ মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়
জনগনের উচিত সরকারী আইন মেনে সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। অপ্রয়োজনে ঘর
থেকে বাহির না হওয়া। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, ঘন ঘন সাবান দিয়ে
হাত ধোয়া। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলাই হতে পারে করোনা
ভাইরাস থেকে আমাদের বাঁচার একমাত্র উপায়।
সমীরন নন্দী বলেন, ভগবানের ইচ্ছায় আমি যদি সুস্থ হয়ে উঠি তাহলে আবার
করোনা স্যাম্পল কিংবা করোনা সংক্রান্ত যে কোন সেবা দিতে প্রস্তুত আছি।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।।