সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা। দু’পক্ষই সীমান্তে অনড় অবস্থানে। গালওয়ান ভ্যালি, প্যাংগংসহ ভারতের সীমান্তবর্তী একাধিক জায়গায় সৈন্য মোতায়েন করে বেজিং। ভারতও পাল্টা সৈন্য মোতায়েন করে সীমান্তগুলোতে। আপাতত একটি থেকে সরে গেলেও এখনও লাদাখ থেকে পুরোপুরি সরেনি চীনা সৈন্যরা। এদিকে চীনের সাথে অনেক বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। একের পর এক অ্যাপ ব্যান করেছে ভারত। আর তাতেই ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিবেশী এই দেশ।
কয়েকদিন আগেই অ্যাপ ব্যান করার বিষয়ে ভারতকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। এবার ফের একবার অর্থনীতি নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল বেজিং। জোর করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে বলে ভারতের দিকে আঙুল তুলল দেশটি।
চীনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডগ এমনই বার্তা দিলেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ভারত-চীনের অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক, একে অপরের উপর নির্ভরশীল। তাই জোর করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে তাতে হার হবে। তিনি আরও বলেন, চীন মোটেই ভারতের জন্য কৌশলগত দিক থেকে কোনও হুমকির কারণ নয়। দুই দেশ যে একে অপরকে ছাড়া চলতে পারবে না, সেই বিষয়টা অপরিবর্তিত থাকছে।
প্রথম দফায় ৫৯টি ও পরের দফায় ৪৭টি চীনা অ্যাপ ব্যান করা হয়েছে ভারতে। যার মধ্যে রয়েছে টিক টক, উই চ্যাটসহ একাধিক জনপ্রিয় অ্যাপ। এরপরই ভারতকে সেইসব অ্যাপ নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে সতর্ক করে চীন।
চীনের তরফ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতকে। বলা হয়েছে, যাতে এই ব্যান ভারত তুলে নেয়। ভারতের উচিৎ এই ভুল শুধরে নেওয়া, এমনটাই বলা হয়েছে সেই বার্তায়। চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, ভারতের উই চ্যাট অ্যাপ ব্যান করে দেওয়া ঠিক নয়। তা তুলে নেওয়া উচিৎ।
জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে ক্ষতিকারক এই অভিযোগে গত ২৯ জুন টিকটক-সহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় ভারত সরকার। তখনও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং। এরপর সোমবার আরও ৪৭টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এই অ্যাপগুলি মূলত আগের নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির ক্লোন হিসেবে কাজ করছিল। সেগুলির মধ্যে রয়েছে টিকটক লাইট, হেলো লাইট, শেয়ার ইট লাইট, বিগো লাইভ লাইট, ভিএফওয়াই লাইটের মতো অ্যাপ। দ্বিতীয় দফায় এই সব অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় চীন।